ভাবির ওড়নাটা যখন উড়ে গেল


 ভাবির ওড়নাটা যখন উড়ে গেল পার্ট ০১

“ওড়নাটা শুধু উড়ে এসে আমার হাতে পড়েনি—ওর গায়ের গন্ধ, ভেজা নিঃশ্বাস আর অদ্ভুত কাঁপুনিটাও যেন আঙুল বেয়ে ঢুকে গেল রক্তে…”

ঢাকার বাসাটা দুইতলায়। বড়ভাই অফিসে, আর বাসায় তখন শুধু আমি আর ভাবি—রোমানা ভাবি।
ভাবি বাসায় নতুন এসেছে বছরখানেক হলো, কিন্তু ওর আশেপাশে একটা আলাদা ঘ্রাণ, আলাদা পরিবেশ তৈরি হয়—চোখে না দেখলেও শরীর টের পায়।

সেদিন দুপুরে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেল। গরমে ঘর হাঁসছে, আর আমি বারান্দার পাশে দাঁড়িয়ে ফোনে ইউটিউব স্ক্রল করছি।
ঠিক তখনই ভেতর থেকে ভাবির ডাকে—

— “শুনছো? একটু আসবা তো? জানালাটার পর্দাটা খুলতে পারতেছিনা, আটকে গেছে!”

আমি থমকে গেলাম। কারেন্ট নাই, ঘাম ঝরছে, আর ভাবি আমাকে ডাকছে—এমনিতেই বুকের ভেতর কেমন রগড় দিয়ে উঠল।

আমি ধীর পায়ে ভেতরের ঘরে ঢুকতে গেলাম। করিডোরটা অন্ধকার, জানালা বন্ধ। ওদিকে রোমানা ভাবি খোলা চুলে দাঁড়িয়ে জানালার কাছে, হাত তুলে পর্দা ধরেছে… চুড়ির টুংটাং শব্দে ঘরটা অন্যরকম গরম হচ্ছে।

আমি কাছে যেতেই হালকা সাবান আর আতরের মিশ্র গন্ধ এসে নাকে লাগল। চোখ নামিয়ে নিচের দিকে তাকাতেই হালকা ঝাপটা খেলাম—
ভাবির ওড়নাটা যেন ঠিক মতো বাঁধা ছিল না। কাঁধ থেকে আধখানা নেমে বুকের পাশের অংশটা দৃশ্যমান করে রেখেছে, কিন্তু ইচ্ছে করে না দুর্ঘটনায়—বুঝা যাচ্ছিল না।

আমি কাছে গিয়ে বললাম,
— “দেন দেখি, আমি খুলে দিচ্ছি।”

ভাবি একটু ঘাড় ঘুরিয়ে তাকাল, ঠোঁটে হালকা হাসি—
— “এই জানালাটাই সামনে খুলবে না, বোধহয় আটকে গেছে। টান দিতে হবে…”

আমি হাত বাড়িয়ে পর্দার মাথা ধরলাম, আর ভাবিও একই সাথে ধরে ছিল। আমার আঙুল ছুঁই ছুঁই করতেই যেন ওদের নিঃশ্বাস আমার কানের কাছে এসে লাগল।

ঠিক তখনই— জানালার গ্রিলের ফাঁক দিয়ে আসা হাওয়ায় ভাবির ওড়নাটা উড়ে গিয়ে সরাসরি আমার হাতে এসে পড়ল!

কাপড়টা আমার আঙুলে পড়তেই যা অনুভব হলো, সেটা ভাষায় বললেও শেষ হবে না—নরম, উষ্ণ, আর যেন কারও বুকের স্পর্শ মেশানো।

ভাবি দ্রুত হাত বাড়িয়ে বলল,
— “ওফ! ধরে ফেলছো নাকি? একটু দাও…”

কিন্তু আমি ফেরত দেওয়ার আগেই দেখি ওর চোখে এক অদ্ভুত দৃষ্টি—
না রাগ, না লজ্জা… বরং যেন নীরব অনুমতি।

আমি খুব ধীরে ওড়নাটা তার হাতে দিতে গেলাম, কিন্তু মাঝপথে আঙুল ছুঁয়ে গেল ওর কব্জিতে।
ও শিহরনটা এতটাই টের পেল যে সামান্য থমকে গেল।

পর্দা টানতে গিয়ে ভাবি সামনে ঝুঁকল, চুল গাল বেয়ে নেমে বুকের পাশে ছুঁয়ে থাকল… আমি ঠিক পেছনে দাঁড়িয়ে, ওর গায়ের গন্ধে মাথা ঝিমঝিম করছে।

ভাবি হালকা কণ্ঠে বলল,
— “জানালাটা হয়তো একটু ধাক্কা দিয়েই খুলবে… তুমি পিছন দিক থেকে ধরো।”

আমি সামনের দিক না ঘেঁষে পেছন দিক থেকে হাত বাড়ালাম জানালার দিকে, আর তখন মনে হলো—আমার বুক আর ভাবির পিঠের ফাঁকটা যেন ইচ্ছে করেই বাতাসে দাঁড়িয়ে আছে... আরেক ধাপ গেলেই সবকিছু বদলে যাবে।

জানালাটা কাঁপছিল, কিন্তু আমি আর ও—যেন বুঝে ফেলেছিলাম, এই কাঁপুনি শুধু কাঠের নয়…

ঠিক তখনই করিডোরে কারও পায়ের শব্দ পেয়ে ভাবি কেঁপে উঠে দ্রুত এক হাত দিয়ে ওড়নাটা বুকে জড়িয়ে নিল।

সে মুহূর্তে ওর চোখের দিকে তাকাতেই যা দেখলাম—
ঘরে ঢোকার দরজা তখনও আধখোলা… আর খোলা থাকাই বুঝি ঠিক ছিল।

—চলবে… পার্ট-০২ এ আগুন ধরবে 🔥

Post a Comment

0 Comments